2007 সাল থেকে আমার বিউটি প্রোডাক্ট এর দোকান টা চালাচ্ছি নিউ মার্কেট থেকে। বেশ ভালোই চলছে প্রোডাক্টগুলো। এগুলা মোস্টলি থাইল্যান্ড থেকে আনা সবই অরিজিনাল প্রোডাক্ট এবং আমি খুব ভালো কাস্টমার পেয়েছি এই দোকান থেকে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে 2010-11 পরেই আমার মনে হচ্ছিল যে জিনিসগুলো আসলে অনলাইন থেকে না নিলেই হচ্ছে না এবং আমি চিন্তা করেছি যে নিউ মার্কেটের বাইরে ও আসলে কোথায় দোকান নেয়া যায়। তখন আমার কাছে প্রথম অপরচুনিটি মনে হয়েছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল। এবং দোকান নেয়ার পরেও আমার নিউ মার্কেটের যে কাস্টমার গুলো ছিল আমি তাদেরকে ওখানেও পেয়েছি। কাস্টমার রিটেনশন খুব ভালোই হয়েছে ওখানে। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে কোন সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু অনেকেই আমাকে বলছে যে ভাইয়া আপনাদের প্রোডাক্ট গুলো একটু অনলাইনে দেখতে পারতাম বা নতুন প্রোডাক্ট এলে যদি আমরা একটু জানতে পারতাম তাহলে খুব ভালো হয়,এই ইনফরমেশন গুলো খুব দরকার হয়। এই ধরনের সাজেশন আমার কাছে সব সময় আসতো। আসলে খুব একটা পাত্তা দিতাম না।
এক সময় আমার সাথে বীজ অ্যাপ টিমের দেখা হয়, তাও আসলে ফেসবুকের মাধ্যমে ওদের একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে জানতে পারি আসলে একটা অ্যাপ তৈরি করা যেতে পারে নিজের নামেই। যেখানে আমি আসলে এই প্রোডাক্ট শোকেজ করতে পারি। পাশাপাশি যেহেতু প্রোডাক্ট শোকেজ হচ্ছেই সো আমি অনলাইনে অর্ডার নিতে পারি এবং আমার আশেপাশে যে জায়গাগুলো আছে ওইখানে আমি প্রোডাক্টটা ডেলিভারি করে দিতে পারি অতি সহজে এর জন্য হয়তো একটা দুটো ছেলে, যারা আমার হয়ে কাজ করছে তাদেরকে আমি ব্যবহার করতে পারি। যেহেতু বিউটি প্রোডাক্ট মানুষ আসলে ইউজ না করে নিতেও চায় না, এই চিন্তা থেকে আমি ফেসবুক লাইভ করেছি বহুবার। যখন আমি বসুন্ধরা সিটিতে দোকান নিয়েছি এবং ঠিক তার দুই বছরের মাথায় যমুনা ফিউচার পার্কে আমার আরেকটি দোকান নেওয়া হয় এবং তখনও আমি ফেসবুক লাইভে প্রোডাক্ট টা আসলে আমাদের এখানে একটা সেলস এর আপুর মাধ্যমে প্রোডাক্টটা সেই ইউজ করত এবং আমরা সেটিকে লাইভ দেখাতাম। কিন্তু যে সমস্যাটা হয়ে যায় আসলে আমার কাছে মনে হতো যে এই যে এত লোক লাইভে আসছে তাদের ডাটা টা ঠিক মত আমাদের এখানে স্টোর হচ্ছে না। আমি যে তাদেরকে নতুন করে কোনো অফার দিতে পারি, সেটা হচ্ছে না। নিচে কমেন্ট করে আমার সেটা বলতে হচ্ছে।কিন্তু বিজ অ্যাপ আমাকে এখানে হেল্প করেছে।
এখন আমি লাইভ টা বিজ অ্যাপের মাধ্যমে করছি। তখন যারা যারা আসলে এখানে লাইভটা দেখছে , তখন অটোমেটিক ডাটা টা স্টোর হয়ে যায়। সো এমনকি পরবর্তীতে যদি আমি তাদেরকে কোন নোটিফিকেশন দিতে চাই, বা নতুন কোন প্রোডাক্ট আসছে, কোন প্রোডাক্ট এর ডিসকাউন্ট অফার বা তাদের কোনো সেলিব্রেশন মোমেন্ট এর অফার বা তাদের কোনো ম্যারেজ সেরেমনি তে বিউটি প্রোডাক্ট এর অফার যদি আমি করতে চাই তা খুব সহজেই এখান থেকে করতে পারছি। এর পাশাপাশি আরেকটা জিনিস আমার বিজ অ্যাপ থেকে ভালো লেগেছে সেটা হলো লয়ালিটি প্রোগ্রাম। লয়ালিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের রি অকারিং কাস্টমার টা বেড়ে গেছে। যেমন তারা কোন কিছু পার্চ্ছেজ করছে এবং তাদের একটা পয়েন্ট জমছে এবং এই পয়েন্টের মাধ্যমে তারা পরবর্তীতে এখান থেকে একটা কুপন রিডিম করতে পারছে।যার মানে, 100 টাকা প্রোডাক্ট তারা 60 টাকা দিয়ে কিনতে পারতেছে কুপন এর মাধ্যমে। অথবা অনেক সময়ে রিডিম করছে না। দেখা যাচ্ছে 1000-2000 কুপন জমিয়ে তারা একটা বড় পারচেস এর ক্ষেত্রে রিডিম করতে পারতেছে। সো এই যে পয়েন্ট জমছে, যার কারনে তারা অ্যাপটাও ইউজ করে মজা পাচ্ছে।এবং এই অ্যাপ টা ইউজ করার মাধ্যমে আমার কাস্টমার ডাটাবেজ টাও দিন দিন বাড়ছে। আমার যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন তিনটা দোকান আছে, সো সেখানে আমার কিরকম সেল হচ্ছে, কোন কোন প্রোডাক্ট বেশি চলছে এই জিনিসগুলো কিন্তু আমি আমার অ্যাপের ব্যাকএন্ড প্যানেল থেকে খুব ইজিলি দেখতে পাচ্ছি। সো সব মিলিয়ে বিজ অ্যাপ আমাকে খুব ভালো সহযোগিতা করেছে এবং আমি মনে করি যে এটার মাধ্যমে আমার ব্যবসাটা আগে যতটুকু ভালো ছিল তার চেয়ে একটু উপরের দিকে নিতে পেরেছি।যেহেতু আমি এমন একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি যেখানে আমি সব কিছু একসাথে দেখতে পাচ্ছি। সো এই হল মূলত বিজ অ্যাপ এর সাথে আমার গল্প। থ্যাঙ্ক ইউ বিজ অ্যাপ, আশা করি সামনে আমরা অনেক ভালো কিছু করতে পারবো বিজ অ্যাপ এর সাথে থেকে, ধন্যবাদ।