2003 এ যখন আমি আমার কনফেকশনারি ব্যবসা টা শুরু করি তখন সেটা শুধু ফাস্টফুডই বলা যায় কনফেকশনারী ছিল না। পরবর্তীতে আমি এখানে বিভিন্ন কনফেকশনারী আইটেম আনা শুরু করি। ছোটখাটো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সময়ে তারা এখান থেকে পেস্টি কেক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের কেক থেকে নিয়ে যাচ্ছে । এবং সবাই এসে ফিজিক্যালি নিচ্ছে । আমার প্রথম ব্রাঞ্চ ছিল ফার্মগেট ব্রাঞ্চ, এর পরে আমি ধানমন্ডি, পরবর্তীতে সবচেয়ে বড় ব্রাঞ্চ টা খুলেছি বনানীতে । আর এভাবেই মোট পাঁচটা ব্রাঞ্চ করা হয়েছে । আমার কাছে একটা জিনিস সব সময় মনে হয়েছে অনলাইন প্লাটফর্ম এ কিভাবে নিজেকে একটু আপডেট রাখা যায় তো সেখান থেকে আমি ফেসবুক পেজ খুলেছি । দেখা যাচ্ছে যে ফেইসবুক পেজটা আমার সেলস এর একজন লোক মেইনটেইন করছে ।
আমার বাসার পাশেই বনানী ব্রাঞ্চ সে জন্য বনানী ব্রাঞ্চের কথাই বলি কারন এই ব্রাঞ্চটা তে আমার বেশি আসা হয়। এখন বাকি গুলোতে বেশি যাওয়া আসা হয় না, সপ্তাহের মাঝে মধ্যে যাই । সো বনানী ব্রাঞ্চ এ কথা যদি চিন্তা করি, এখানে আমার দোকানে সাত থেকে আটজন সেলস এ লোক রয়েছে যারা কাস্টমারকে সেবা প্রদান করে। সুতরাং আমার কাছে যখন বিজঅ্যাপের মাধ্যমে এরকম একটা সিস্টেম পাই যেটা ব্যবহার করে কাস্টমার অর্ডার করছে বনানীর আশেপাশের এলাকা থেকে, সে কোথায় আছে সেটা আমি দেখতে পারছি এবং যখন দেখছি যে সে বনানী আশেপাশে কোন লোকেশনে আছে তখন আমি সেটা একসেপ্ট করছি। এবং তার সাথে আমি ফোনে কথা বলে খাবারটা পাঠিয়ে দিতে পারছি । তখন সে ঘরে বসে খাবারটা পেয়ে যাচ্ছে। আর এতে আমার নতুন করে কোন কস্ট বৃদ্ধি করছে না। আর আমিও আমার এক্সিস্টিং যারা সেলসম্যান দিয়েই কাজট সম্পন্ন করতে পারছি। আমি খুব সহজেই বলতে পারি বিজ অ্যাপ ছাড়া এটা করা আমার দ্বারা এটা করা সম্ভব হত না। বিজ অ্যাপের সাথে পরিচয় হয় আমার 2019 এর শুরুতে এবং ওদের কাছ থেকে আমি আমার এই ফুল আইডিয়াটা পাই এবং সিওডি সিস্টেম টা এই ভাবে মেইনটেইন করতে পারি। পাশাপাশি বললাম যে আমার যেহেতু অনেক গুলো ব্রাঞ্চ আছে এবং সবগুলো ব্রাঞ্চের সেলস কিন্তু আমি এই একটা সিস্টেমের মধ্যে দেখে নিতে পারি এবং কোথায় কি রকম সেল হচ্ছে এবং কোন প্রোডাক্টটা কোন টাইমে বেশি সেল হচ্ছে , কোন খাবারে ডিমান্ড টা বেশি এখন কোন খাবারটা থেকে যাচ্ছে । সো ফাস্ট ফুড আইটেমের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায় যখন দেখা যাচ্ছে যে দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে তখন ফাস্টফুড আইটেম অনেক রয়ে গেছে । তো এই জিনিস গুলো পরবর্তীতে দিনগুলোতে নেওয়া যায় না অনেক সময় । তখন আমি অ্যাপ এর একটা অপশন পেলাম সেটা হচ্ছে পুশ নোটিফিকেশন । বনানী হোক আর ফার্মগেট হোক যখন আমার কোন খাবার রয়ে যাচ্ছে এবং আমার মনে হচ্ছে এগুলো সেল করে দেয়া উচিত, রাখলে আমার লস হবে কিংবা খাবারটা বাসি হয়ে যাবে, তখন আমি বিপঅ্যাপের মাধ্যমে পুশ নোটিফিকেশন দিয়ে দিচ্ছি যে , একটা অফার চলছে, নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে খাবার নিলে ১০ পার্সেন্ট 20 পারসেন্ট ৩০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিচ্ছি । তখন দেখা যাচ্ছে যে আমার এই খাবার গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে অথবা ওই দিন শেষ না হলেও পরদিন সকালের মধ্যে শেষ হয়ে যায় । সো ওই খাবারটা যে বাসি হবে তা এখানে আর সুযোগ থাকছে না । সব মিলিয়ে আমি মনে করি যে বিজঅ্যাপ আমার ব্যবসাটাকে ভালোই পুস করেছে উপরে উঠার জন্য। যেহেতু আমার প্রথমত ওদেরকে কাস্টমার এন্ডের বললাম যে তারা আমার দোকানে এসে একটা ফ্লায়ার থেকে অ্যাপের ডিটেইলস টা পেয়ে যাচ্ছে, নামিয়ে নিচ্ছে পাশাপাশি ওদের সহায়তায় আমি আমার ফেসবুক থেকে প্রমোশন করেছি এবং আমি আমার বিভিন্ন ব্রাঞ্চ ওয়াইজ প্রমোশন করেছি যে আপনি আমার এই অ্যাপ টা নামিয়ে নিন । অ্যাপ নামালে টেন পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট। এভাবে আমার আসলে দেখা যাচ্ছে প্রায় লাখখানেক এর বেশি কাস্টমার আছে আমার বিভিন্ন ব্রাঞ্চ অনুযায়ী । পাঁচটি ব্রাঞ্চ থেকে আমি অলমোস্ট এক লক্ষ ইউজার পেয়েছি যারা আসলেই আমার ব্রাঞ্চ থেকে খাবার নেয়। এদেরকে আমি সময় মত বিভিন্ন পুশ নোটিফিকেশন পাঠাতে পারছি যার ফলে খাবার নষ্ট হওয়ার প্রবণতা কমে গেছে । এর ফলে আমার ব্যবসায় ভালো লাভ হচ্ছে । সব মিলিয়ে বিজ অ্যাপকে আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই যে ওরা আমাকে বেশ ভালো সার্ভিস দিচ্ছে এবং সেটি খুব কম খরচে । এবং এবং আমি যেটা অ্যাপ নিজে তৈরি করতে গেলে আসলে আমার যেরকম এফোর্ট দিতে হতো যা আমাকে এখন এখানে এফোর্ট দিতে হচ্ছে না, আমি শুধু দেখছি এটি ঠিকঠাক চলছে কিনা । বাকি সব কাজ হচ্ছে বিজ অ্যাপ এর মাধ্যমে । সো থ্যাঙ্ক ইউ বিজ অ্যাপকে এরকম একটি সার্ভিস নিয়ে আসার জন্য । এবং আমি আশা করছি ওদের সাথে বহুদূর যাওয়ার ।