+88 01708349330
সেলস্ হটলাইন - সকাল ৯টা - রাত ৯টা
+88 01708349330 সেলস্ হটলাইন - সকাল ৯টা - রাত ৯টা
বুক করুন

আমি রিতা। ভার্সিটিতে পড়া অবস্থা থেকেই, নিজে কিছু একটা করার খুব ইচ্ছা। আমার ইচ্ছা ছিল একজন ফ্যাশান ডিজাইনার হবো। কিন্তু বাবার ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ার আর মায়ের ইচ্ছা ডাক্টার বানানোর। ডাক্টার হওয়া আমাকে খুব একটা টানে নি কখনো। সেই জায়গা থেকে বাবার ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চেষ্টা করতে থাকি। খুব কষ্টে এক বছর পার করলাম কিন্তু ধীরে ধীরে বুজতে শুরু করলাম ইঞ্জিনিয়ারিং এ আমি খুব একটা ভাল করতে পারবো না। ইঞ্জিনিয়ার হয়তো হতে পারবো কিন্তু ভাল ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবো না। মনে মনে ভাবতে শুরু করেছিলাম কি করবো? কি ভাবে করবো?

ই সকল প্রশ্নই একদিন আমার লক্ষ্য আমাকে দেখিয়ে দিল। একাডেমিক ভাবে আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু আমার সত্ত্বায় বাস করে একজন ফ্যাশান ডিজাইনার। আমি আমার একজন বান্ধুবিকে সাথে করে ইঞ্জিনিয়ারিং ২য় বছর থেকেই শুরু করি নিজের ডিজাইন করা কামিজ সেল করতে। সেই থেকে পথ চলা শুরু। গত চার বছরে আমি মোটামোটি ভাবে একজন অনলাইন ফ্যাশন শপের মালিক হিসাবে পরিচিত। আমার কোন শোরুম নাই। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আমার তৈরি প্রডাক্টগুলো সেল করে আসছি গত চার বছর ধরে। পথ চলা কখনোই সহজ ছিল না

ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করলেও খুব বেশি মনে হত আমার যদি এমন কোন মাধ্যম থাকতো যে মাধ্যমটি ব্যবহার করে আমি আমার প্রডাক্ট সেলকে আরো বুস্টআপ করতে পারি। আমার প্রডাক্টগুলোকে মানুষের সামনে আরো সহজে উপস্থাপন করতে পারি।

ফেসবুক লাইভ খুব ভাল কাজ করতো যখন আমার ব্যবসাটি ছোট ছিল। কিন্তু ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন জিনিস একসঙ্গে ম্যানেজ করা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। আপনারা জেনে হয়তো অবাক হবেন আমার এই রোজার ঈদে টোটাল সেলের পরিমান ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এই পরিমান সেল মেইন্টেইন করা, ডেলিভারি করা, প্রডাক্ট এরেঞ্জ করা সত্যি অনেক দুষ্কর হয়ে যাচ্ছিল।

এর মাঝে আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে বললো তুই একটা মোবাইল শপ বানিয়ে ফেল। আমি তাকে বললাম কিভাবে আমি এই মোবাইল শপ বানাতে পারি। সে বললো একটা মোবাইল এপ্লিকেশন বানিয়ে ফেল। তখন থেকেই আমি বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলি এবং আমার প্রয়োজনের কথা জানাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই অ্যাপ তৈরির খরচ ছিল অনেক। ঠিক এমনি একদিন ফেসবুকে একটি অ্যাপ সার্ভিসের বিজ্ঞাপন দেখলাম। তারা বলছে তাদের অ্যাপের মাধ্যমে করা যাবে অনেক কিছু। আমি এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি তাদের সাথে একটি মিটিং ফিক্স করি। তাদের কথা শুনি এবং আমার সমস্যার কথাগুলো বলি।

তারা আমাকে তাদের সার্ভিসের বেশ কিছু জিনিস আমাকে সাজেস্ট করলেন। এবং সেগুলোর মাধ্যমে আমাকে একটি এপ তৈরি করে দিলেন।

প্রথমত আমার অকেশনাল সেল ছিল বেশি। রেগুলার সেল খুব বেশি হত না। তাই সে সময়গুলোতে আরো বেশি কিভাবে সেল করা যায় তার জন্য অসাধরন একটি সমাধান ছিল তাদের লয়াল্টি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমার প্রতিটি ক্লায়েন্টের একটা করে প্রোফাইল থাকতো। সেই প্রোফাইলে তারা যে কোন পার্চেজ করার সাথে সাথেই প্রাইজ ওয়াইজ কিছু রি ওয়ার্ড পয়েন্ট জমা হত। এবং সেই পয়েন্ট ব্যবহার করে তারা একটি নির্দিষ্ট সময় পার্চেজের উপর ডিসকাউন্টের মাধ্যমে স্বল্পমুল্যে পন্য কিনতে পারতেন। দেখাগেলো এর মাধ্যমে যাদের প্রফাইল আছে তারা তাদের আশেপাশের সবাইকে কেনার জন্য ইন্সিস্ট করছেন।

আমার প্রোডাক্টগুলো আমি এখন খুব সহজেই ডিসপ্লে করতে পারছি। প্রোডাক্ট ম্যানেজ করতে পারছি। দেখা যাচ্ছে আগে যখন আমার কোন প্রডাক্ট শেষ হয়ে যেত আমি জানাতে পারতাম না কিংবা এই প্রোডাক্ট নিয়ে কোন লাইভও করতে পারি না। আমার এপের মাধ্যমে আমি একটা সেগমেন্ট রেখেছি যেটা হচ্ছে নিউ এরাইভেল। কোন নতুন পন্য আসার সাথে সাথে এই নিউ এরাইভেল সেগমেন্টে আপলোড করে দিচ্ছি। এবং খুব সহজেই পুশ নোটিফিকেশনের মাধ্যমে তাদের কাছে সেই ইনফরমেশনগুলোও পাঠিয়ে দিতে পারছি।

কাস্টমারের বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে তৈরি করতে পারছি বিশেষ অফার।

এছাড়াও এপের লাইভ অর্ডার অপশনটির মাধ্যমে গ্রাহকরা ফেসবুক লাইভ প্রোডাক্ট শো দেখতে পারবে এবং সাথে সাথে প্রোডাক্ট কি-ওয়ার্ড দিয়ে অর্ডাও প্লেস করতে পারবে এবং চাইলে ঝামেলাহীন ভাবে পেমেন্টও দিতে পারবে।

আরো একটা সুবিধা হচ্ছে এখন আমি খুব সহজেই কমিউনিকেশনগুলো মেইন্টেন করতে পারছি। আগে দেখতাম সারাদিন ম্যসেঞ্জারে সময় দিতে হত। এবং সব সময় সঠিকভাবে সেটা মেইন্টেনও করতে সক্ষম হচ্ছিলাম না। কিন্তু এখন খুব সহজেই আমি তাদের এন্সারগুলো দিতে পারছি। কারন আমাকে কোন সময় নষ্ট করতে হয় না। প্রডাক্ট নিয়ে অনর্থক উত্তর দিয়ে।

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে রিয়েল টাইম সেলস মনিটরিং। আমার অবর্তমানে কেও যখন এটা মেইনটেন করে তখন দিন শেষে তার কাছ থেকে সব আপডেট আমাকে নিতে হয়। কি কখন কয়টা বিক্রি করছে, নতুন কিছু আনতে হবে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এখন আমি খুব সহজেই রিপোর্ট আকারে সব দেখতে পারি।

তাই বলবো বিজ এপ আমার বিজনেস অপারেশনটা অনেক বেশি স্মূদ করে দিয়েছে। একজন অনলাইন ব্যবসায়ী হিসাবে আমি বলতে পারি বিজএপ হেল্প করতে পারে আপনাকেও। ধন্যবাদ।

বিজঅ্যাপ

যেভাবে সাহায্য করবে আপনার বিজনেসকে