+88 01708349330
সেলস্ হটলাইন - সকাল ৯টা - রাত ৯টা
+88 01708349330 সেলস্ হটলাইন - সকাল ৯টা - রাত ৯টা
বুক করুন

আসলে বাবা দাদার সময় থেকেই আমাদের মুদি দোকানের ব্যবসাটা চলছে। তখন মুদি দোকান হিসেবেই চিনত, যেহেতু পাড়া-মহল্লার বড় দোকান হিসেবেই পরিচিতি ছিল। বাপ-দাদার প্রজন্ম শেষ হওয়ার পর যখন আমি এসে ব্যবসাটা শুরু করলাম, তখন আমি বুঝলাম যে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসাটা একটু আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। ঠিক সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশে বড়-বড় সুপারশপ গুলো যেমন আগোরা, মিনা বাজার, স্বপ্নের মত চেইন শপগুলো আসলো, এগুলো দেখেই আমার একটা স্বপ্ন ছিল এধরেণের একটা গ্রোসারি শপ দিব, কিন্তু বিজনেসে এত বড় ইনভেস্টমেন্টে যাওয়াটাও পসিবল ছিল না তখন ইচ্ছা ছিল যে পাড়া মহল্লার ভিতরেই এরকম একটা আধুনিক ফিচারের শপ করবো। তারপরে ফেসবুকেই আমি সর্বপ্রথম আমি বিজ এপের এড দেখতে পাই, এবং আমি যখন জানতে পারলাম যে স্বল্প খরচেই আমি একটা অ্যাপ বানাতে পারবো, সেখানে বিজ্ঞাপন দিতে পারবো, যেখানে এ ধরণের ফিচার থাকবে । আমি বেশ ইন্টারেস্টেড হলাম । বিজঅ্যাপ টিমের সাথে আমি মিটিং ফিক্স করলাম, অনলাইনেই আমি মিটিংটা করলাম, আমাকে তাদের অফিসেও যেতে হয় নি !

মিটিংয়ে আমি আমার প্রয়োজনটা তুলে ধরলাম, বিজঅ্যাপ এর কনসাল্টেন্ট টীম আমাকে কিছু সাজেশন্স দিলেন, সেখান থেকে আমি কিছু সাজেশন নিলাম, আমার ব্যবসার প্রয়োজন অনুসারে একটা অ্যাপ বানালাম। পর্যায়ক্রমে আমি লক্ষ্য করলাম যে, আমার ব্যবসাটাকে আমি অনেক সহজেই ম্যানেজ করতে পারছি। উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় আমি বলতে চাই যেমনঃ

আমার মহল্লারই বেশ কিছু পরিবার আছে যারা অনেকদিন যাবত আমার শপ থেকে কেনাকাটা করছে, ওনাদেরকে আমি বাই ফেস চিনি, ফোন নাম্বার জানি, নিয়মিত ভাবে মাসের বাজার করে, মাঝে মাঝে টুকটাক বাজার করে। এখন দেখা যাচ্ছে তারা যখন অ্যাপ নামিয়ে নিচ্ছে, কষ্ট করে তাদেরকে আর আমার দোকানে আসতে হচ্ছেনা। তারা বাসা থেকেই অ্যাপ অর্ডার দিচ্ছে, আমি আমার দোকানের ছেলেটাকে দিয়ে পাঠিয়ে দেই। এবং আমার এখানে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা রয়েছে। আবার অনেক সময় দেখা গেল কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করল কিন্তু আমার দোকানে সেই পণ্যটি নেই, আমি কিছু সময় নিয়ে সেটা অন্য জায়গা থেকে সংগ্রহ করে দিয়ে দিতে পারছি। পাশাপাশি আমার দোকানের সেলও বেড়েছে। আমার অ্যাপ ইউজ করে লোকজন কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

এখন তো ভাই স্মার্ট ফোন সবার হাতে হাতে আছে। এর পাশাপাশি যেটা দেখার বিষয়, এখন তো ব্যাস্ত সময়, সবাই তো আসলে ঐ ভাবে ক্যাশ ক্যারি করে না। আমার এখানে বিকাশে পেমেন্ট করা যাচ্ছে, পাশাপাশি কার্ডেও পে করা যাচ্ছে। সো আমার ক্যাশ হ্যান্ডেলিং করতেও ঝামেলা হচ্ছেনা। আমি ইজিলি পেমেন্টাও পেয়ে যাচ্ছি। এবং এইটার জন্য আমাকে কোন লোকও রাখতে হচ্ছেনা, আমার দোকানের যে ছেলেটা আছে তাকে দিয়েই আমি ম্যানেজ করে নিয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ্‌।

যেহেতু আমার এখানে একটা বড় দোকান আছে পাশাপাশি আরো দুইটা ছোট দোকানও আমি চালাচ্ছি। সেহেতু দেখা যাচ্ছে যে খুব সহজেই অর্ডারগুলো অ্যাপের মাধ্যমেই ম্যানেজ করতে পারছি,যে দোকানটা আমার কাছে সেখান থেকে আমি পন্যগুলো সরাসরি কাস্টমারের বাসায় পাঠিয়ে দিতে পারি। আমার এখানে আলাদা কোন এফোর্ট দিতে হয় না, বিজঅ্যাপের আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে যে, আমার এখানে যখন আংকেলরা আসতেন, বা কাস্টমাররা আসতেন, তাদেরকে বলতে হত যে এই প্রোডাক্ট নতুন এসেছে নিয়ে দেখতে পারেন। কিন্তু এখন আমার যেই কাস্টমাররা আছেন, তাদেরকে আমি কিছু পুশ নোটিফিকেশন পাঠাতে পারি। উদাহরণ যদি বলি, হারপিকের সাথে একটা বোল দিচ্ছে। ডিটারজেন্টের সাথেও একটা বোল দিচ্ছে। যেহেতু কোরবেনীর সময়, এই সময় কে সামনে রেখে আমি কাস্টমারকে একটা পুশ নোটিফিকেশোন পাঠালাম। দেখলাম যে আমার ডিটারজেন্টের সেলটা একটু বেড়েছে। আগে কাস্টমারকে আমার দোকানে আসতে হত, এসে অফার জানতে হত; আর এখন আমি একটা পুশ নোটিফিকেশোনে মাধ্যমেই আমি এটা করে ফেলতে পারছি। এই জিনিসটা ম্যানেজ করাটা আমার জন্য খুব ইজি হয়েছে।

আর এই সব কিছু তো আমার ব্যবসায় গতানুগতিকভাবে চলতো, বিজঅ্যাপ নেয়াতে যেটা আরো তরান্বিত হয়েছে। একটা চমৎকার জিনিস আমি পেয়েছি, যেটা আমি হয়তো আগে খুব ক্যাল্কুলেশন করে আমার মাথায় রাখতে হত। কিন্তু এখন এটা আমার অ্যাপের যে ইন্টারফেসটা আছে, যা আমি আমার ল্যাপটপ থেকে দেখতে পারি। আমার ফিক্সড যে কাস্টমাররা আছে, তারা মাসে কোন প্রোডাক্ট কত টুকু প্রয়োজন হচ্ছে,তারা যদি ইনকেইস তাদের ফেভারিট প্রোডাক্ট না পায়, ৫৭০ সাবান না পায় তিনি এর অল্টারনেট কোন প্রোডাক্ট নিতে পারেন, এটা আমি জেনে রাখতে পারছি বা আমার, মাসে কতগুলো ৫৭০ সাবান যায়, আগে হয়ত আমি সেভাবেই স্টক করতাম। এখন আমি মাসে কে কতগুলো সাবান নিতে পারে এরকম আইডিয়া আমার হয়ে যাচ্ছে। সো আমি এভাবে আমার স্টকে যে প্রোডাক্ট গুলো আছে সেগুলো আমি গুছিয়ে রাখতে পারি।

সোজা কথা বলতে গেলে একটা কাস্টমার আমার থেকে মাসে কি নিচ্ছে, কতগুলো নিচ্ছে, তার একটা রেকর্ড আমার কাছে থেকে যায়। সেখান থেকে দেখে তাকে একটা কাস্টমাইজ অফার দেয়া , নতুন কোন প্রোডাক্ট আসলে তাকে জানানো এগুলো আমি এখন খুব ইজিলি করতে পারি। সো আমি বলব যে বিজঅ্যাপ আমি যখন নিয়েছিলাম, তখন আমি ভাবিনি যে আমি আমার ব্যবসাকে এতটা ডিজিটাল ওয়েতে রুপান্তর করতে পারবো। ডিজিটাল বাংলাদেশের জার্নির সাথে নিজেকে ট্যাগ করতে পারবো। কিন্তু আমি যখন বিজঅ্যাপ ইউজ করলাম, এখন আমি সত্যিকার অর্থেই ফিল করি যে এই মর্ডানাইজেশনের কারণে আমার বিজনেস অনেক বেড়েছে, লাভের চাকা আসলেই ঘুরেছে!!!

বিজঅ্যাপ নেয়ার ফলে সত্যি আমার ব্যবসায় একটা নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।

বিজঅ্যাপ

যেভাবে সাহায্য করবে আপনার বিজনেসকে